ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের পার্শ্বস্থ আনন্দ বাজারের দোকান মালিকদের কাছ থেকে এককালীন ১০ লাখ ও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে গত ৯ দিন ধরে ৭টি দোকান বন্ধ করে রেখেছেন তারা।
একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
দোকান মালিকরা জানান, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে দোকান খোলা অবস্থায় অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ একদল নেতাকর্মী নিয়ে আনন্দ বাজারের ওই দোকানগুলোতে গিয়ে দোকান মালিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। শবে বরাতের রাতে একটি হোটেলে ডেকে নিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা। ভয়ে এখন পর্যন্ত দোকান বন্ধ রেখেছেন বলে জানান মালিকরা।
তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ২ নেতা। জানতে চাইলে এনায়েত এইচ. মনন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ষড়যন্ত্র করে এ অভিযোগ আনা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, ইমদাদুল হাসান সোহাগ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। গত রবিবার আমি ঢাকা থেকে মাগুরায় গিয়েছি। আমি বা আমার হলের কেউ এর সাথে জড়িত নয়।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি কোনো ধরনের অনৈতিক এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কোনো কাজ করে, তাহলে আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।'
অমর একুশে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, 'এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো অভিযোগ পাইনি। তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, 'দোকান মালিক কর্তৃপক্ষকে তথ্য প্রমাণসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ থাকলো। আমাদের কাছে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন