রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তানভীরের হয়ে প্রক্সি দেন বায়েজিদ নামের এক শিক্ষার্থী। ধরা পড়লেও ওএমআর শীট বাতিল না করায় খাতা মূল্যায়নে সর্বোচ্চ মার্ক পেয়ে প্রথম হয়ে যায় সে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর আলোচনায় আসে বিষয়টি। নজর কাড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে বিষয়টি। তবে কিভাবে ধরা পড়লো এই প্রক্সি দেয়া তানভীরই প্রথম হয়েছে।
সূত্র খুঁজতে গিয়ে বের হয়, সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে প্রথম বিষয়টি শেয়ার হয়। সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল পেজে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তির স্ক্রিন শর্টের সাথে তানভীরের প্রাপ্ত ফলাফল শেয়ার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুহিনু্জ্জামান।
কীভাবে বের করলেন এই তথ্য সে বিষয়ে জানতে চাইলে তুহিনুজ্জামান বলেন, সকাল বেলা অনেক এপ্লিকেন্টের ফলাফল পেতে সহায়তা করছিলাম। তবে একটু কৌতুহল নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল পেজের প্রক্সি দেয়া রোলগুলোর রেজাল্ট একে একে দেখতে শুরু করি। প্রথম দুইটি রোলের প্রথমটির পজিশন দেখতে পাই ৬ হাজারের উপরে। দ্বিতীয়টির ফলাফল এক্সফেল্ড দেখা গেলেও তানভীরের রোলের ফলাফল দেখতে গিয়ে বের হয়ে আসে সে প্রথম হয়েছে। এরপর সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও ওই শিক্ষার্থীর ফলাফলের স্ক্রিনশট ফেসবুক গ্রুপটিতে শেয়ার করি।
তুহিনুজ্জামানের তথ্য শেয়ারের পর ভাইরাল হয়ে যায় বিষয়টি। এরপর নানা আলোচনার জন্ম দেয়। ঘটনার পর পরই তানভীরের ফলাফলটি বাতিল ঘোষণা করে বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রক্সি দেয়া শিক্ষার্থীদের নাম ও রোলসহ বিস্তারিত তথ্য প্রক্সির আশ্রয় নেয়া তানভীরের ফলাফলটি সামনে আনতে সহায়তা করেছে।
এর আগে গত ২৬ জুলাই ভর্তি ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষায় তানভীরের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়ে বায়েজিদ নামের এক শিক্ষার্থী। সে ছাড়াও আরও তিনজন প্রক্সিদাতা ধরা পড়ে। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর