৯ আগস্ট, ২০২২ ১৮:১৯

ঢামেকের শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢামেকের শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরে জড়িত ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। 

ভুক্তভোগী মো. সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বর্তমানে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। এদিকে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)। অন্যথায় লাগাতার কর্মবিরতির হুমকিও দিয়েছে তারা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কলেজ লাইব্রেরিতে পড়াশোনা শেষে রাত নয়টার দিকে আমি শহীদ মিনারে একা একা বসে বাদাম খাচ্ছিলাম। তখন দেখি দুই-তিন জন করে একেকটা দলে ভাগ হয়ে বেশ কিছু ছেলে শহীদ মিনারে আগতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে, অনেককে সেখান থেকে উঠিয়ে দিচ্ছে। এক পর্যায়ে তিন জন এসে আমার পরিচয় জিজ্ঞেস করে এবং পরিচয়পত্র দেখাতে বলে। আমার কাছে পরিচয় না থাকায় হলে তাদের আমার সাথে হলে গিয়ে পরিচয়পত্র দেখে আসতে বলি।

তিনি বলেন, এ কথা বলার পর তারা হয়তো বুঝতে পারে যে, আমি ঢাকা মেডিকেলের ছাত্র। তখন আমি কাউকে ফোন দিয়ে এনে ঝামেলা হয়তো ঝামেলা করতে পারি, এই ভয়ে তারা আমাকে দ্রুত ওই স্থান থেকে বিদায় করার জন্যে তৎপর হয়ে ওঠে। আমি চলে যাওয়ার সময় যে পারছিল, সেই আমাকে মারধর করছিল। এ সময় আমার কানে জোরে থাপ্পড় দিলে আমি বসে পড়ি। বসে কেন পড়লাম, এই অপরাধে একজন জুতা পায়ে আমার মুখে লাথি মারে। একারণে আমার নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। রিকশায় ওঠার আগ পর্যন্ত ৮-১০ মিলে আমাকে মারধর করে।  

সাজ্জাদ বলেন, মারধরকারীদের প্রায় সবার গায়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোওয়ালা টি-শার্ট ছিল। কিন্তু তাদের পরিচয় জানা বা বোঝার উপায় ছিল না। তবে সবাই একটু হালকা পাতলা গড়নের ছিল। তাদের আচার আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। 

ভুক্তভোগী বলেন, মারধরের পর আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। চিকিৎসকরা জানান যে, আমার কানের পর্দার আশেপাশে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ডান পাশের কানে কম শুনতে পাচ্ছি। মারধরের এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সাজ্জাদ।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ উল আহসান মঙ্গলবার এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদলিপিতে তারা বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেছেন, তার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীকে সহযোগিতা করা হবে। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর