জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সেলফি পরিবহনের ২০টি বাস আটক করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাদ রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার উদ্দেশ্যে সেলফি পরিবহনের একটি বাসে উঠার চেষ্টা করেন। এসময়, বাসটির হেল্পার তাকে বাসে উঠতে না দিয়ে ধাক্কা দিলে মাটিতে পড়ে আঘাত পান সাদ। এ ঘটনার জেরে আজ সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচার মহাসড়কে আরিচাগামী লেনে সেলফি পরিবহনের ২০টি বাস আটক করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনসহ কয়েকজন নেতা। পরে তারা ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে বেলা ২ টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল সাদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গাবতলী থেকে সেলফি পরিবহনের বাসে উঠতে গিয়েছিলাম। তখন জাহাঙ্গীরনগর যাব বললে আমাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয় বাসটির হেল্পার। তখন আমি আঘাত পাই এবং আমার ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার জেরে হলের শিক্ষার্থীরা বাস আটক করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেলফি পরিবহনের মালিকদের একজন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ২০টি বাস আটক করেছিল। আমাদের মালিকপক্ষের দুজনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাস ছেড়ে দেন তারা।
জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, বাস আটকানোর ঘটনাটি সমাধান হয়েছে। টাকা-পয়সার ব্যাপারে আমার জানা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বাস আটকানোর ঘটনাটি শুনেছি। পরে শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় বাসমালিক বা শিক্ষার্থীরা কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল