খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ স্কুলের আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘Arts and Humanities for Peacebuilding’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিনব্যাপী ( ২ ও ৩ আগস্ট) এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মানবিক বিষয়গুলোর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এই সম্মেলনে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ইংরেজি বিভাগের ছয়জন গবেষক তাদের গবেষণা উপস্থাপন করেন। তারা সমাজ, রাজনীতি, ভাষা, সাহিত্য ও পরিবেশ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
উল্লেখযোগ্য গবেষণার মধ্যে-ফাহিমা তাসনিম মার্ভেল সিনেমার চরিত্রের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়ের চিত্র তুলে ধরেন। মো. আবু জোবায়ের গার্সিয়া মার্কেসের ‘জাদুবাস্তবতা’ ধারণার প্রাসঙ্গিকতা বাংলাদেশের সমাজে বিশ্লেষণ করেন। রুকইয়া জামান জুথি ও নাফিসা নাহরিন আফরা জলবায়ু সংকট ও পরিবেশ বিষয়ক সাহিত্যের প্রভাব ব্যাখ্যা করেন। মো. মেহেদী হাসান বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। আনিকা খান ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় আবেগের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি ড. মো. হারুনর রশিদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন ডিন ড. মো. শাহজাহান কবির।
কী-নোট সেশনে মালয়েশিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা একাডেমির শিক্ষাবিদরা বক্তব্য রাখেন। তারা জানান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি মানুষের মধ্যে সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।