খুলনায় পরপর তিন দিনে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা ও আরও একজনকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মোটিভ উদঘাটনের দাবি করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নিরাপত্তাহীনতায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। জানা যায়, ১ আগস্ট রাতে সোনাডাঙ্গা সবুজবাগ এলাকায় ঘরে ঢুকে মনোয়ার হোসেন টগর নামে যুবককে খুন করে দুর্বৃত্তরা। নিহত টগর একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ‘বি’ কোম্পানির সদস্য ছিল। পরে সে পলাশ-কালা লাভলুর গ্রুপে যোগ দেয়। মাদক কারবারির টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধে তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়। পরদিন ২ আগস্ট ভোররাতে দীঘলিয়ার বারাকপুর গ্রামে আলামিন সিকদার নামের আরেক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দীঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এইচ এম শাহীন বলেন, নিহতের স্ত্রী রিপা বেগমের পূর্বের স্বামী আসাদুল এ হত্যাকা ঘটিয়েছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সর্বশেষ ৩ আগস্ট রাতে মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকায় ঘের ব্যবসায়ী আলামিনকে গলা কেটে খুন করে দুর্বৃত্তরা।
একই রাতে কাস্টমঘাট এলাকায় মো. সোহেল (২৮) নামে আরেক যুবককে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলিটি তার পেটে বিদ্ধ হয়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) খন্দকার হোসেন আহম্মদ বলেন, এসব হত্যাকা অধিকাংশই টার্গেট কিলিং। যা পুলিশের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হলেও তারা সহজে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও অপরাধে যুক্ত হয়।