পোষ্য কোটা নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলনে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। অবিলম্বে কোটা পুনর্বহাল চান শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তবে এ দাবির বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দুই পক্ষ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, বিষয়টি সমাধানে কাজ চলছে। তবে প্রক্রিয়াটা জটিল।
জানা গেছে, পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা অ্যাখ্যা দিয়ে অবিলম্বে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে চতুর্থ দিনের মতো সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এতে পরীক্ষা ও জরুরি কার্যক্রম ছাড়া ক্লাস ও দাফতরিক কাজ বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। এদিকে এই কোটা পুনর্বহালের দাবির বিরোধিতা করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, এই অভ্যুত্থানে কোটা বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জীবন দিয়েছে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, আলী রায়হানসহ শত শত যুবক। অথচ বছর না যেতেই আবারও কোটার জন্য আন্দোলন করেন। গণঅভ্যুত্থানের পর কোটার কোন যৌক্তিকতা নেই। এমন অযৌক্তিক দাবি পূরণ হতে দেওয়া হবে না।
অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই সুবিধা আছে, অথচ আমরা বঞ্চিত। এটা অযৌক্তিক। গণঅভ্যুত্থানের পর এই বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। তবে এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই। আমাদের দাবি প্রশাসনের কাছে। অবিলম্বে দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, দাবি আদায়ে উভয় পক্ষের সবস্থানে অনঢ়। কোন আলোচনা ফলপ্রসু হচ্ছে না। কর্মবিরতির জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক জটিলতা বাড়ছে। কোন ছাত্রের জরুরি সার্টিফিকেট দরকার, সেটা সম্ভব হচ্ছে না। কারো পেনশনের টাকা আটকে আছে। ফরম পূরণের কাজ হচ্ছে না। ফলে জটিলতা বাড়ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত