দিনভর মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল মিটিং করেছে চা শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট চা বাগান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কালীঘাট বাগানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এদিকে, একই সময়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল মৌলভীবাজার শহরের দিকে এসে জড়ো হয়। এখানে প্রায় ২ ঘণ্টা মৌলভীবাজার-সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে উত্তেজিত শ্রমিকরা।
এরপর মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চা শ্রমিক নের্তৃবৃন্দ বিষয়টির সমাধানের জন্য অনুরোধ করে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, তাদের সাথে ব্যাপক আলাপ আলোচনা হয়ে ও কোন সমাধানে পৌঁছা যায়নি। কারণ তারা যদি আমার আহবানে সাড়া দিয়ে কাজে নেমে যেতো তাহলে হয়তো কিছু করা যেতো। এখন প্রধানমন্ত্রী কি সিদ্ধান্ত দেবেন তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে দীর্ঘদিন কাজে না থাকায় চা শ্রমিকরা হতাশায় ভুগছে। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের সাথেও খারাপ আচরণ করছে।
ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক সর্দার ধীরু হাজরা জানান, ১০২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা মজুরি করা হয়েছে। এর মধ্যে 'এ' গ্রেডের শ্রমিকরা পায় ১২০ টাকা, 'বি' গ্রেডের পায় ১১৮ টাকা আর 'সি' গ্রেডের শ্রমিকরা পায় ১১৭ টাকা। এই টাকা দিয়ে কোনভাবেই পুষে না।
একই বাগানের দুলাল হাজরা জানান, আমাদের দাবিকৃত মজুরি না পেয়ে কাজে যোগদানের কোন পথ আর নেই। টানা ১৭ দিন কাজে না যাওয়ায় অনেক শ্রমিকের এখন খাবার ঘরে নেই। কেউ উপোষ আর কেউ পানি ও একবেলা খেয়ে দিনযাপন করছে।
বাগান ঘুরে দেখা গেছে, কাজ না থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। শ্রমিকরা এলোমেলোভাবে রাস্তায় রাস্তায় চলাফেরা করছে। চেহারায় চরম দুশ্চিন্তার ছাপ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত