শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের শপথবাক্য পাঠ করানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষার্থীদের দ্বারা শিক্ষকদের শপথ পাঠের ঘটনা নিয়ে বেশিরভাগ লোকজন নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। তবে, ছাত্র সমন্বয়করা বলছেন- এটা শপথ ছিল না। মূলত জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধরে রাখতে এটা করা হয়েছে। এই কাজের জন্য শপথবাক্য পাঠ করানো সমন্বয়ক দুঃখ প্রকাশও করেছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) কনফারেন্স রুমে নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ ড. মো. ইসমাইল হোসেনকে শপথবাক্য পাঠ করান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক পলাশ বখতিয়ার। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। শপথ পড়ানোর ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
শপথবাক্যে ২০২৪ এর জুলাইয়ের সব শহীদদের স্বশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ, তাদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ও আদর্শকে সমুন্নত রাখতে এবং ছাত্র-জনতার বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা এবং গবেষণা উন্নয়নে সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সচেষ্ট থাকার কথা বলা হয় শপথে। দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য আপসহীনভাবে নিয়োজিত থাকারও প্রতিশ্রুতি ছিল শপথে। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক পলাশ বখতিয়ার ‘প্রেস, কোটা আন্দোলন-সিলেট’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছেন, ‘গতকাল নব নিযুক্ত মাননীয় উপ-উপাচার্য ও মাননীয় ট্রেজারার স্যারের সাথে মত বিনিময়ের সময় জুলাই বিপ্লবের কথা স্মরণ করে আমরা অনেকে বক্তব্য দিই এবং তারই ফলশ্রুতিতে জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে ধরে রাখতে স্যারদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে অনুরোধ করি। শিক্ষকরা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র, শিক্ষকদের অসম্মান হোক এটা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা স্যারদের কাছে এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবেও স্যারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল