চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে কর্ণফূলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। গ্যাস বিস্ফোরণের পর কেজিডিসিএল এ গঠিত তদন্ত কমিটি এ দাবি করে। এর আগে ঘটনা তদন্তে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কেজিডিসিএল’র জেনারেল ম্যানেজার (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন এবং কারিগরি বিষয়গুলো তদন্ত করেছি। রবিবার সন্ধ্যায় আমরা তদন্ত প্রতিবেদন কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থায় জমা দিয়েছি।’ তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, আমাদের গ্যাসের পাইপ লাইন ও রাইজার অক্ষত আছে, যা থানায় রক্ষিত আছে। তবে আমাদের মনে হয়, আশপাশের কোনো সেফটিক ট্যাংক থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় সেফটিক ট্যাংক থেকেও বিস্ফোরণ হয়। এখানেও একটি সেফটিক ট্যাংক আছে। হয়তো সেখান থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। গ্যাসের আগুন হলে অনেক্ষণ ধরেই তা জ্বলতে থাকে। তাছাড়া গত তিন বছর আগে সাগারিকায় একটি স্যুয়ারেজ থেকে গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে পাশের একটি ব্রিজও উপড়ে যায়, সরে যায় মাটি।’
বিধি বহির্ভূত ভবন
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান বলেন, প্রথম দর্শনেই বলা যায় ভবনটি বিধি অনুযায়ী নির্মিত হয়নি। অবৈধভাবে সড়কের জায়গা দখল করে ভবনের সামনের অংশ বাড়ানো হয়েছে। বিপজ্জনক ব্যাপার সেফটিক ট্যাংক করা হয়েছে সড়কের পাশে। যথাযথ ডিজাইন না হলে সেফটিক ট্যাংকে গ্যাস জমে। আর এটির পাশে কিচেন, গ্যাসের রাইজার। আমরা চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত করে এ চিত্র দেখেছি।’
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব