আমাদের বিদেশি বিনিয়োগের চেয়ে স্থানিক বিনিয়োগ বেশি হওয়ায় অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত রয়েছে। তবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বিদেশি বিনিয়োগ দরকার।
রবিবার সকালে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসার উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগে তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারে সমন্বিত ট্যুরিজম খাতের উন্নয়ন করা গেলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। বিশ্বের অনেক দেশ এমনটি করেছে। বিদেশিরা নিরাপত্তা ও পলিসি সাপোর্ট চায়।বিডার চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের শিল্পের সূতিকাগার চট্টগ্রাম। প্রধান সমুদ্রবন্দর এখানে। আমদানি-রফতানির ৯০ ভাগ এ বন্দর দিয়ে হয়। বন্দরের লিড টাইম কমাতে হবে। ২০২১ সালে পদ্মা সেতু চালু হলে অর্থনীতির অদৃশ্য হাতে মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম বেড়ে যাবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর হলে লিড টাইম অনেক কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বেসরকারি খাতের নেতৃত্ব, সরকারি কর্মকর্তাদের কনট্রিবিউশনের কারণে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে উলেখ করে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা বিশেষ করে তরুণদের নেতৃত্বে আমি আশাবাদী।
দেশে বেসরকারি খাতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, বিনিয়োগ সহায়তা প্রদান এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিভাগীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এতে সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ৩০ হাজার একর জমিতে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে। ৮-৯ হাজার একর জমি প্রস্তুত। কর্ণফুলী নদীর নিচে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকায় টানেল হচ্ছে। মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। গভীর সমুদ্রবন্দরের অ্যাকোয়ার কাজ চলছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ চলছে। রেলস্টেশন হবে ঝিনুকের মতো। বে টার্মিনালের অ্যাকোয়ারের কাজ সম্পন্ন। এটি হলে চট্টগ্রাম শহরে যানজট হবে না।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শঙ্কর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/ফারুক তাহের