১৯ জানুয়ারি, ২০২০ ১৬:২০

'বন্দরকে ৫০ বছর এগিয়ে নেওয়ার কাজ হচ্ছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

'বন্দরকে ৫০ বছর এগিয়ে নেওয়ার কাজ হচ্ছে'

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৫০ বছর পর কি পরিমাণ চাপ হবে তা চিন্তা করেই উন্নয়নকাজ ও ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। এটা যদি ৫০ বছর আগে করা হতো, তাহলে আমরা এর সুফল এখনও ভোগ করতে পারতাম।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সম্মেলন কক্ষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতির গতিকে আরো বেগবান করতে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া কর্ণফুলী নদী ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি দূষণরোধ ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। বে টার্মিনাল দ্রুত নির্মাণের লক্ষ্যে ফাস্ট ট্র্যাকে আনতে শিগগির প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেবেন বলেও জানান তিনি।

কর্ণফুলী নদীর দখল-দূষণে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে শ্বাসরোধ করা হচ্ছে। কর্ণফুলীর তলদেশে গ্র্যাব ড্রেজার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ক্যাপিটাল ড্রেজিং হবে। সব খালের মুখে স্টিলের নেট দিতে হবে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন এই নদী। কর্ণফুলী না থাকলে বন্দরও থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল জুলফিকার আজিজ চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান সক্ষমতা সম্পর্কে তথ্যচিত্র তুলে ধরেন। তিনি বন্দরের উন্নয়নে সংসদীয় কমিটির ভূমিকাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর আগামীতে ৫৭তম অবস্থানে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন বন্দর চেয়ারম্যান।

মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামকে নিয়ে আমার স্বপ্ন আছে। বে টার্মিনালের পরিকল্পনা কুমিরা পর্যন্ত স¤প্রসারিত হবে। এ এলাকায় যাতে কেউ স্থাপনা গড়তে না পারে, কারণ বন্দরের কার্গোর জন্য ডেলিগেটেড সড়ক ও রেলপথ থাকতে হবে। এটি সবচেয়ে জরুরি। হামবুর্গ পোর্টে দেখেছি ১৪টি দেশের জন্য ডেলিগেটেড রেললাইন। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে জিডিপিতে দেড় শতাংশ গ্রোথ বাড়বে। বিশ্বব্যাংকের ১৫০ বিলিয়নের পরিকল্পনা রয়েছে ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের জন্য।

এ সময় কমিটির সদস্য রণজিৎ কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, এসএম শাহজাদা, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুছ ছাত্তার, উপ সচিব বেগম মালেকা পারভীন, ড. দয়াল চাঁদ মণ্ডল, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপ পরিচালক আবদুল জব্বার, সিনিয়র সহকারী সচিব এসএম আমিনুল ইসলাম, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মহিদুল হাসান চৌধুরী, হারবার মেরিন কমডোর শফিউল বারী, চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী, সচিব মো. ওমর ফারুক, ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) জিলুর রহমান, উপসচিব আজিজুল মওলা, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী, বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/ফারুক তাহের/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর