বন্দর ও কাস্টম হাউসের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়কারি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমসে যত বেশি সমন্বয় সাধন হবে, ততবেশি দেশের উপকার হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ১ নম্বর গেট এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৩ নং গেটে স্থাপিত ‘এফএস ৬০০০’ সিরিজের অত্যাধুনিক ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার উদ্বোধনকালে তিনি এসব করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কনটেইনার হ্যান্ডলিং হলো মূলত বন্দরের কাজ। কাস্টমস এখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সরকারের রাজস্ব আহরণ করে। এ স্ক্যানারগুলো আমদানি ও রপ্তানি কাজে ব্যবহৃত উভয় কাজে ব্যবহৃত কনটেইনার স্ক্যান করতে সক্ষম।
এ সময় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম শফিউল বারী, বন্দর ব্যবহারকারী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, নতুন স্ক্যানার দুইটি ‘বোথ ওয়ে’ স্ক্যান ডিরেকশনে স্ক্যানিং করতে সক্ষম। এ ধরনের স্ক্যানারে জৈব, অজৈব, ধাতব, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পণ্যের রঙের স্ক্যান ইমেজ (ছবি) পাওয়া যাবে। তাই স্ক্যান করা কনটেইনারের পণ্যের পার্থক্য নিরূপণ ও সঠিকতা যাচাই সহজ ও দ্রুততর হবে। শুল্কফাঁকি, চোরাচালান, মিথ্যা ঘোষণা রোধ, ঝুঁকিমুক্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আরও ৭টি কনটেইনার স্ক্যানার স্থাপনের পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান এনবিআর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/ফারুক তাহের