সীমিত পরিসরে দ্বিতীয় দিনের লকডাউনেও চট্টগ্রাম নগরী, জেলা ও উপজেলাগুলোতে পরিবহন সংকটের কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরকারি-বেসরকারি অফিসগামী কর্মজীবীদের নিজস্ব গাড়ি না থাকায় সেই যেমনি সময়ের মধ্যে অফিসে উপস্থিত হওয়া কঠিন হচ্ছে, ঠিক তেমনি অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়াও নিচ্ছে চালকরা। রিকসা আর পাঠাও মোটরসাইকেল চালকদের কাছে এক প্রকার জিম্মি বলেই জানান ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে লকডাউনের নির্দেশনা মেনে চলতে প্রশাসনের দায়িত্বশীলরাও কঠোর হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলাচলের পাশাপাশি জরুরী যানবাহন ছাড়া অন্য গাড়ি চলাচলে সর্তক আছেন তারা। এর জন্য নগরী ও জেলার উপজেলাগুলোতে প্রশাসনের পৃথক টীমও কাজ করছেন বলে জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কঠোর লকডাউনে আইনে বাইরে গিয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি যেভাবে বেড়েই চলেছে, সেখানে নিজেরাই সর্তক যদি না হই’ তাহলে আক্রান্তের মাত্রা বেড়েই যাবে। এটি সকলের জন্য একটি সর্তক সংকেত। তাই সরকারের এবারের ঘোষিত লকডাউন সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনার পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরিতে মাইকিং করাও হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রিক্সার পাশাপাশি পাঠাও রাইট বা মোটরসাইকেল চালকের দাপট। পরিবহন সংকটের কারণে সাধারণ যাত্রীদের কাজ থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় ভাড়া আদায় করছেন। নিরুপায় হয়ে কর্মস্থলে যেতেই বেশী ভাড়া দিতেই হচ্ছে। এখানে যথারীতি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় অফিসগামী ও জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের। মুরাদপুর, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, রাস্তার মাথা, ২ নং গেইট, আন্দরকিল্লাহ, জিইসি মোড়, লালখান বাজার, টাইগার পাস, বারিক বিল্ডিং, কোতোয়ালী, নিউমার্কেট, ইপিজেড, পতেঙ্গা, আগ্রাবাদ এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অফিসগামীদের তীব্র জটলা দেখা যায়। পরিবহন সংকটে পায়ে হেঁটেই অনেককে কর্মস্থলের দিকে ছুটতে দেখা গেছে।
ক্ষোভের সঙ্গে রহিম নামের গার্মেন্টস কর্মী বলেন, অফিস থেকে পরিবহনের ব্যবস্থা না করায় আজকে এই সমস্যায় পড়েছি। আমিই যে গার্মেন্টসে কাজ করি সেখানে শুধু বসদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে, আমাদের মত শ্রমিকদের জন্য করেনি। আজম নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, দু-তিন গুণ বেশি রিকশা ভাড়া দিয়েও রিকশা পাচ্ছি না। এ ধরনের অপরিকল্পিত লকডাউনের কারণে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার