চট্টগ্রামে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমাবর্তন আগামী রবিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ থানাধীন আরেফিন নগরে অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
সমাবর্তনে স্মারক বক্তা থাকবেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কলামিস্ট এবং লেখক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ও সমাবর্তন আয়োজক কমিটির কো-কনভেনার অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, কলা, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শরীফুজ্জামান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর চৌধুরী এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অনার রুল অ্যাওয়ার্ড পাবেন ১০ জন শিক্ষার্থী, ভাইস চ্যান্সেলর অনার রুল পাবেন ৩৯ জন, ডিন অনার রুল পাবেন ৩৮ জন এবং গ্রাজুয়েট একাডেমিক এক্সিলেন্স পাবেন ৯ জন শিক্ষার্থী। এবারের সমাবর্তনে মোট ৭ হাজার ৮৫৩ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি প্রদান করা হবে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে তিনটি অনুষদে (ব্যবসায় প্রশাসন, কলা, সমাজ বিজ্ঞান ও আইন এবং সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) ৯টি বিভাগে ব্যাচেলর এবং ৭টিতে মাস্টার্সসহ ১৫টি প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। শুধুমাত্র সনদ নির্ভর নয়, বরং গবেষণা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা যায়, সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষা বাণিজ্য নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে দুর্নাম, তাকে পাশ কাটিয়ে সবার সাধ্যের মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে সাউদার্ন কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই