দেশের মানুষ এখন আর হরতাল চায় না জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন আর হরতাল চায় না, সাধারণ মানুষ হরতাল ভুলে গেছে। অথচ বাম দল হরতাল ডেকে আবার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
সোমবার চট্টগ্রামে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালে নৈরাজ্য প্রতিহত করতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে দলীয় কার্যালয় চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
অবস্থান কর্মসূচিতে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের মাঝে হরতাল পলিসি মনে করিয়ে দিতে চায়। দেশের উন্নয়নের চাকা থামিয়ে দিতে চায়।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, সদস্য বেলাল আহমদ, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ।
অন্যদিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারাদেশে বাম জোটের ডাকা আধাবেলা হরতালের কোনো প্রভাব চট্টগ্রামে দেখা যায়নি। তবে নগরের নিউমার্কেট এলাকায় মিছিল করার সময় পুলিশের সাথে নেতা-কর্মীদের বাক-বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ বিনা কারণে মাইক, ব্যানার কেড়ে নিয়ে হরতাল সমর্থনকারীদের উপর চড়াও হয়েছেন এমন অভিযোগ করছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।
ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল পালন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারই অংশ হিসেবে নগরীর নিউমার্কেট, রিয়াজুদ্দীন বাজার, স্টেশন রোড, জুবিলী রোড, শাহ আমানত মার্কেট, কোতোয়ালী এলাকায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ইনচার্জ আল কাদেরি জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আশোক শাহা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেনের নেতৃত্বে মিছিল করে হরতাল সমর্থকরা।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, তারা রাস্তার ওপর ছিল। রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে তারা রাস্তার একপাশে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কাযক্রম চালিয়ে গেছে। কোনো ধরনের অঘটন ঘটেনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন