ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার সকাল ৯টা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এবং দুপুর ২টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ১৫ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ ও ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। যা মাঝারি ধরনের ২৩ মিলিমিটার থেকে ৪৩ মিলিমিটার আর অতি ভারী যা ৮৯ মিলিমিটার বা তারও বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০১৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের প্রধান তিন বন্দর চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা এবং কক্সবাজার উপকূলকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানে ও উপকূলের কাছাকাছি স্থানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্রে জানা যায়, সাইক্লোন প্রস্তুতি প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রামে প্রায় ১২ হাজার স্বোচ্ছাসেবক আছেন। এর সঙ্গে আছে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র। তাছাড়া আছে রেড ক্রিসেন্টের প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী। মজুদ রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে শুরু হবে। তবে ৪নং সতর্ক বার্তা আসলেই আমাদের টিম মাঠে নামবে। বর্তমানে সাইক্লোন প্রস্তুতি প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রামে প্রায় ১২ হাজার স্বোচ্ছাসেবক এবং ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। তাছাড়া জরুরি মুহুর্তের জন্য আছে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার। আমাদের মূল কর্মসূচি তিনটি- আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, শুকনো খাবার মজুদ রাখা এবং স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা রাখা। এসব নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম