একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সময় ১০টি কলেজকে পছন্দক্রম তালিকায় রাখা যায়। তবে অনেক শিক্ষার্থী সেটা না করে কম সংখ্যক পছন্দ দিয়ে ভর্তির আবেদন করেছেন। বিশেষ করে প্রথম সারির কলেজগুলোই পছন্দ তালিকায় দিয়েছেন প্রায় শিক্ষার্থী। যার কারণে জিপিএ-৫ পাওয়ার পরও কলেজ পায়নি চট্টগ্রামের ৯১ জন শিক্ষার্থী।
তবে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক জানান, তিনধাপে যেসব শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছেন তাদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও আন্তঃবোর্ড সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে মোট আবেদনকারীর তুলনায় আসন সংখ্যা বেশি থাকায় সব শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়ায় তারা ভর্তি হবে তা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃবোর্ড সিদ্ধান্ত নির্দেশনা দিলে তখন বলা যাবে।
শেষ দফায় প্রকাশিত ফলাফলের পর নতুন করে শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবে না। ফলে কলেজ না পাওয়া এসব শিক্ষার্থীকে অপেক্ষা করতে হবে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর। এখন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তর উপর নির্ভর করছে এসব শিক্ষার্থীর ভাগ্য।একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির শেষ ধাপের আবেদনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৮ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনও কলেজ পায়নি। যার মধ্যে ৯১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
জানা যায়, সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ১৮ হাজার ৬৮৮ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৮ হাজার ৯৩ জন। এর মাঝে শেষ ধাপ পর্যন্ত ১৮ হাজার ২ জন ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৩ জন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১ম ও ২য় তালিকায় মনোনীতদের মাঝে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করে ১ লাখ ১২ হাজার ১১৫ জন। প্রকাশিত ৩য় ধাপের ফলাফলে মনোনীত হয়েছে ৮ হাজার ৬ জন। সব মিলিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ১২১ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে এবার ১ লাখ ৭৪ হাজার আসন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল