৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৪৫

মায়ের কবরের পাশে কাল শায়িত হবেন মোছলেম উদ্দীন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মায়ের কবরের পাশে কাল শায়িত হবেন মোছলেম উদ্দীন আহমেদ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীন আহমেদ (ফাইল ছবি)

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীন আহমেদের মরদেহ চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। সোমবার বিকেল ৫টায় বোয়লখালীতে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে সন্ধ্যার পর নগরীর লালখান বাজারস্থ বাসভবনে তার মরদেহ পৌঁছানো হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জমিয়াতুল ফালাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে গরীব উল্লাহ শাহ মাজারস্থ কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তার লাশ দাফনের কথা রয়েছে।

এর আগে সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ, নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।

এরপর দুপুর ২টায় বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ বোয়ালখালীর কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নেয়া হয়। এসময় মরদেহের সাথে হেলিকপ্টারে কারে আসেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। কধুরখীল বিদ্যালয় মাঠে মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ নেয়া হয় গৌমদন্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। ওই মাঠে আছর নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখতে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে।

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সাথে লড়ে গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার একটি হাসাপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের এই সাংসদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয় ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও চার কন্যা ছাড়াও একমাত্র ভাই, আত্মীয়স্বজন ও বহু রাজনৈতিক অনুসারী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন আসনের সাংসদ, রাজনৈতিক নেতা, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।

মোছলেম উদ্দিন ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের সরকারি কমার্স কলেজের সহ-সভাপতি, ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনি মোছলেম উদ্দিনকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত একই ইউনিটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে বোয়ালখালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর দীর্ঘ ২৫ বছর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৩ সাল থেকে আমৃত্যু সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পটিয়া থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন অল্প ভোটে পরাজিত হন তিনি। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর