চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের মাস্টার হাট গ্রামে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার বিকালে নিহত হোসনেরা বেগমের বড় ছেলে জাফর আহমদ (৩২) বাদী হয়ে প্রতিবেশী মো. মহসীনকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় মামলাটি (মামলা নং-৪৩/২০২৩ ইং) দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, আলতাজ বেগম (৬০), ছেনোয়ারা বেগম (৩৬), বাবুল মিয়া (৪০) ও খাইরুন্নেছা সুমা (১৮)।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
মামলার বাদী জাফর আহমদ বলেন, সীমানাপ্রাচীর করা নিয়ে আমার মা ও মেজ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মামলার আসামিরা। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, দুইজনকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে হোসনে আরা বেগমের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মো. মহসিন ও তার ভাই মো. মুসলিম পরিবারে গত ৫ ও ১০ এপ্রিল ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করে হোসনে আরা বেগমের পরিবার। এর জেরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবারও দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে পারভেজকে (৩১) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত হোসনে আরা বেগমের দুই ছেলে মো. আরজু (২২) এবং মো. সিফাত (১৫) আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো- শিকলবাহা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ব্লক পাড় এলাকার মো. মহসীন (৪০), মো. মোসলেম (৩৮), মো. মুরাদ (২৮), মোহাম্মদ টিপু (২২) ও মোহাম্মদ ইমরান (২০), আলতাজ বেগম (৬০), ছেনোয়ারা বেগম (৩৬), মো. বাবুল মিয়া (৪০), মনোয়ারা বেগম (৪২), জামাল আহমদ (৪৫), আনার আহমদ (৩৫) মো. সাজ্জাদ (২২), খাইরুন নেছা সোমা (১৮), মো. মহসীনের স্ত্রী ডেজি আক্তার (৩২) ও মো. মোসলেমের স্ত্রী জেবু আক্তার (২৫)।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল