চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন এঁওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা ৯নং ওয়ার্ডস্থ মদিনানগর এলাকায় শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মামলার ১নং আসামি আরিফুল ইসলাম মানিক (৩৫), ২নং আসামি আব্দুল রহিম (৩৫) এবং ৪নং আসামি মো. মিজান (৩০)। তারা সবাই সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর-পশ্চিম গাটিয়াডাঙ্গা এলাকার। গ্রেফতারকৃত আসামী আরিফুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে ৮টি, আব্দুল রহিমের বিরুদ্ধে ১০টি এবং মো. মিজানের বিরুদ্ধে ৭টি হত্যাসহ অস্ত্র, দাঙ্গা-হাঙ্গামার একাধিক মামলা আছে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, শিশুসহ দুইজনকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল সাতকানিয়া থানাধীন এঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা ৯নং ওয়ার্ডস্থ মদিনানগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শক্রতার জের ধরে আটক আসামিরাসহ অন্যান্য আসামিগণ গুলিবর্ষণ করলে সাংবাদিক মো. কামরুল ইসলাম (৪৫) ও পথচারী শি মো. রাফি (৫) গুলিবিদ্ধ হয়। তারা বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পরদিন সাংবাদিক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আহত শিশু রাফির মুখে কোনো কথা নেই। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় দিন কাটছে তার। গুলিবিদ্ধ রাফির বাবা রহিম বলেন, আমি দিনমজুর। আমার ছেলেটির কোনো দোষ ছিল না। সে দাদার দোকানে চকলেট খেতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আমাদের সঙ্গে তো কারও কোনো সমস্যা নেই। আমার ছেলেটির পিঠ দিয়ে গুলি ঢুকে পেট দিয়ে বের হয়।
তিনি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে আর কথা বলছে না। প্রায় সময় চোখ বন্ধ করে রাখছে। কিছুক্ষণ পর চোখ খুললে কেবল তাকিয়ে থাকে। আমার ছেলেকে গুলিবিদ্ধকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ