চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম বাড়িয়ে প্রান্তিক মানুষের আরও বেশি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। রবিবার দুপুরে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মুখে খাওয়া কলেরা টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন। এরপর বিকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের স্বাস্থ্য শাখার প্রধান মায়া ভ্যানডেনেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেন মেয়র।
উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর, কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, আইসিডিডিআরবির সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. ফিরদৌসি কাদরী, জাতিসংঘ শিশু তহবিলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফিল্ড অফিসের প্রধান মাধুরী বানার্জী, হেলথ স্পেশালিষ্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ।
চসিক মেয়র বলেন, চসিক বাংলাদেশের একমাত্র সিটি কর্পোরেশন যেটি নাগরিকদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে। এক সময় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সুনাম ছিল সারাদেশে। তবে, পরবর্তীতে পর্যাপ্ত মনোযোগ না পাওয়ায় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ তার জনসেবার ঐতিহ্য হারায়। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্দশা দূর করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর মেমন হাসপাতালকে ঢেলে সাজিয়েছি, অর্থোপেডিক পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। মাতৃসেবা সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনাও আছে আমার।
তিনি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডে ৫৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয় চসিক। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের বিনামূল্যে পরীক্ষাও করেছে চসিক। তবে স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে নিজেদের রাজস্ব আয়ের উপর নির্ভর করতে হয়। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলে বর্তমান অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করেই চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম বাড়িয়ে আরো বেশি প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।
বিডি প্রতিদিন/এএম