চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
বুধবার বিকালে নগরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদ’ এর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রামে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিনহাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, পরিষদের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান ও কে. মাহমুদ ফয়সাল, আইনজীবী জিয়াউর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঈদগাঁও ফোরামের সভাপতি ঈয়াছিন আরফাত প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান, সংগঠক গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, হাজী ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্না, মো. মোরাদ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ঈদগাঁও ফোরামের জয়নাল আবেদিন, চট্টগ্রামস্থ ইসলামপুর ইউনিয়ন ছাত্র ফোরামের সভাপতি মুসা ইব্রাহিম রাজিব, তৌফিক মাহবুব, হাসনাইন মাবরুর জিমাম ও মো. তাওসীফ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। এখন এই মহাসড়কটি মৃত্যুর জনপদে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এই সড়কের কোথাও না কোথাও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে- সংবাদপত্র খুললেই তার প্রমাণ মেলে। আমরা এই পরিস্থিতি আর দেখতে চাই না। বারবার অনুরোধ ও দাবি জানিয়েও এখনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। তাই আমরা আবারও জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি- অবিলম্বে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, মহাসড়কটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই সড়কটি অনেক জায়গায় পাড়ার গলির চেয়েও সরু। জাঙ্গালিয়ার মতো কিছু অংশ ঢালু ও আঁকাবাঁকা। আবার রাতে লবণের গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সড়ক প্রশস্ত করার আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
প্রসঙ্গত, এর আগে একই দাবিতে গত ৬ এপ্রিল নগরীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি এবং গত ১১ এপ্রিল সরকারের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতদিনেও বাস্তব কোনো পদক্ষেপ না থাকায় এলাকাবাসী পুনরায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন