ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খুলনায় সরকারি দলের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে খুলনা জেলা বিএনপি। একই সাথে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আজ রবিবার দুপুরে খুলনায় বিএনপি’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা এ আহবান জানান। এসময় সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির এজাজ খান উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম মনা বলেন, নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা দিতে গত ৪ মার্চ রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল ইসলাম জনিকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে জখম করা হয়। ওই রাতেই জেলা বিএনপির সাংগঠনকি সম্পাদক আমীর এজাজ খানের ওপরেও হামলা হয়। এছাড়া ৪ মার্চ রাতে রূপসার আইচগাতীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে গুলিবর্ষন, শ্রীফলতলা ইউনিয়নে বিএনপি’র সভা ভন্ডুল, ইউপি সদস্যদের অস্ত্রের মুখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে স্বাক্ষর ও নৈহাটি ইউনিয়নে সাইদ মেম্বারের বাড়ি ও স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ প্রথমে বিএনপির জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তারপর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হামলা করে কয়েকজনের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। এখন সশস্ত্র অবস্থায় বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ন নেতা ও প্রার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করছে। সংবাদ সম্মেলনে তেরখাদা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সন্ত্রাসী অহিদুজ্জামান কর্তৃক মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা