রাজশাহীর পবায় দুই শিশুকে ঘরের মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটানোর ঘটনার আসামি তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ (শিশু আদালত) এর বিচারক হায়দার আলী খন্দকার এ আদেশ দেন।
শিশু জাহিদের মামলার আইনজীবী এনামুল হক জানান, মঙ্গলবার এ মামলায় জামিনে থাকা আসামিদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। দুপুরে মামলার ৮ নম্বর আসামি ও চৌবাড়িয়াগ্রামের মানুর ছেলে তুহিন (২৬) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক হায়দার আলী খন্দকার তার আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও কারাগারে থাকা আসামি মাসিমও জামিনের আবেদন জানান। বিচারক তার আবেদনও না মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের রাকিবের বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয় জাহিদ ও ইমনকে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত নির্যাতনের পর ছেড়ে দেওয়া হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন জাহিদের বাবা ইমরান আলী বাদী হয়ে এক সেনা ও র্যাব সদস্যসহ ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এর মধ্য ৮ জন আসামি জামিনে আছেন। এছাড়াও ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার আরেক আসামি মাসিমের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। এখন পর্যন্ত পুলিশ ও সেনা সদস্যসহ তিনজন আসামি পলাতক আছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা