কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যায় জড়িত সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডি। নিহত ছাত্রীর কাপড়ে পাওয়া পৃথক তিনটি ডিএনএ'র সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে তাদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন আলামতে বেশ কিছু ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট সিআইডির হাতে এসে পৌঁছেছে। সে সব ফিঙ্গার প্রিন্টের নমুনাও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
তনুর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে তিনজনের প্রোফাইল মেলায় হত্যা তদন্ত একটা পর্যায়ে এসেছে বলে মনে করছেন তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান ও সিআইডি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আখন্দ। তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, এখন বাকী তদন্ত দ্রুত শেষ করার কাজ করছে সিআইডি।
মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ওই সময়ের সেনানিবাস ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, ''তনুর অন্তর্বাস হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২১ মার্চ সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমার কাছে পাঠানো হয়। পরে আমি তা আলামত হিসাবে জব্দ করি। ২০ মার্চ গভীর রাতে সিএমএইচে তনুর লাশ রাখা অবস্থায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছিলাম। তখন তার পরনে অন্তর্বাস ছিল না।''
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, তনুর বাবা-মা সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের নাম বলেছে তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা সেনা নিবাসের বাইরের একটি রেস্টুরেন্টে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তনুর বাবা-মা।
তনুর বাবা মো. ইয়ার হোসেন বলেন, ''আমরা সিআইডিকে সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনের নাম বলেছি। তাদের মধ্যে দু'জনের বাসায় তনু প্রাইভেট পড়াতে যেত। আরেকজন তনুকে গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। হত্যাকাণ্ডের ১০/১২ দিন আগে তিনি সর্বশেষ গাড়ি নিয়ে বাসায় এসেছিলেন।''
২০মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার নিকট কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ পাওয়া যায়। প্রথম ময়নাতদন্তে তনুকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি ও হত্যার কারণ পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। ৩০ মার্চ ২য় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ