হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের 'লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড' থেকে ট্যাব ও মোবাইল ফোন সেট চুরির দায়ে বিমানের সিকিউরিটি গার্ড সাদ্দাম হোসাইনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ ইউসুফ এই রায় দেন। পাশাপাশি সাদ্দাম হোসাইনের চাকরির বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বিমান কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডে রক্ষিত লাগেজের মালামাল পাহারার দায়িত্বে ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিকিউরিটি গার্ড মো. সাদ্দাম হোসাইন। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য সাজেদুর রহমান সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান মো. সাদ্দাম লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডে রক্ষিত লাগেজ থেকে চুরি করছেন। এপিবিএন সদস্য সাজেদুর রহমান ঘণ্টাখানেক সাদ্দামের পিছু নেন। দুপুর ২টার দিকে লাগেজ থেকে ট্যাব-মোবাইল সরাতে দেখে সিসিটিভি রুম থেকে দ্রুত গিয়ে মালামালসহ সাদ্দামকে আটক করেন সাজেদুর। এরপর সাদ্দামকে বিমানবন্দর এলাকায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়।
আদালত পুনরায় সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে সাদ্দামের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এক বছর কারাদণ্ড দেন তাকে।
এ প্রসঙ্গে এপিবিএন-এর সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফ জানান, ''বাংলাদেশ বিমানের কর্মী সাদ্দাম হোসাইন বিমানের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডে যাত্রীদের মালামাল পাহারা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় বিমানবন্দর এপিবিনের সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা সদস্যরা দেখতে পান, সেখানে রক্ষিত নতুন একটি ট্যাব ও দু’টি মোবাইল ফোন সেট পকেট ও ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয় সাদ্দাম। তাৎক্ষণিক ওই বিমানকর্মীকে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।’
রায় প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ ইউসুফ বলেন, ''বেড়া যখন ক্ষেত খায়, সে ক্ষেত কি রক্ষা পায়? লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডে রক্ষিত লাগেজের মালামাল পাহারার দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ বিমানের সিকিউরিটি গার্ড মো. সাদ্দাম। কিন্তু সে নিজেই চুরি করেছে। এজন্য সাদ্দামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাজেদুরকে পুরস্কৃত করার জন্য এবং সাদ্দামের চাকরি সংক্রান্তে বিধিগত ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ