কঠোর নজরদারিতে রয়েছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত ৪ পাকিস্তানিসহ ৩৫ বিদেশি শিক্ষার্থী। কলেজ প্রশাসনের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে তীক্ষ্ণভাবে। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা।
গত পহেলা জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে সরকার। এর পরপরই দেশে বিশেষ করে বিদেশী শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহে তৎপর এবং নজরদারি শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবার পাকিস্তানী শিক্ষার্থীদের দিকে তীক্ষè নজর তাদের।
গত ২৯ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক অনুবিভাগের স্মারক-৪২৬ এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খান মো. নূরল আমীন স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত এক চিঠিতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের বিদেশি শিক্ষার্থীদের হালনাদাগ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এর আগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিজিএফআই, এনএসআই, র্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত ৪ পাকিস্তানিসহ ৩৫ বিদেশি শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের ছাত্র শাখার অফিস সহকারী মো. রনি। এসব সংস্থার সদস্যরা প্রতিনিয়ত বিদেশি শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর রাখছেন। এর মধ্যে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের তথ্য চাওয়া হচ্ছে বেশি।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ভাস্কর সাহা জানান, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ৪ জন পাকিস্তানি এবং ১৪ জন ফিলিস্তিনিসহ মোট ৩৫ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আলাদা ছাত্রাবাসে থাকে। তাই সব সময়েই তারা কলেজ প্রশাসনের আলাদা নজদারিতে রয়েছে।
২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ৩ পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এরা হলো সাজিদ রহমান, গোলাম মোস্তফা ও আলী রহমান। ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হয় আরেক পাকিস্তানি ইকরা নাজিয়ার।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) জাহাঙ্গীর মল্লিক জানান, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীসহ বরিশালে অবস্থানরত সকল বিদেশি নাগরিকদের দিকে পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। প্রতি মাসেই তাদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। নজরদারি ছাড়াও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদা সচেষ্ট রয়েছেন বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব