রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মহিন্দ্রা এলাকায় ‘মদের বিষক্রিয়ায়’ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ জানিয়েছে। এরা হলেন ছমির উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৫৫), আবু বক্করের ছেলে আনোয়ার হোসেন(৪৮) ও শাহাদৎ হোসেনের ছেলে শাহজাহান(৪০)। এদের মধ্যে রবিবার মধ্যরাতে শাহজাহান বাড়িতে, আবুল কালাম আজাদকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এছাড়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর ভোরে মারা যান আনোয়ার। এরা সকলেই স্থানীয় একটি হিমাগারের শ্রমিক।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, “মদের বিষক্রিয়ায় আনোয়ার মারা যান”।
নিহত আনোয়ারে স্ত্রী তহমিনা খাতুন জানান, “আমার স্বামী রবিবার অনেক রাইতে বাড়িত আইসে। ভাত না খেয়ে শুইয়া পড়ার পর বমি করতে থাকে। পরে শুনি পাশের বাড়ির আবুল কালামেরও একই অবস্থ। কি খায়া আরচে জানি না। হাসপাতালে ভর্তির পর আমার স্বামী মারা যায়”।
৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ বলেন, “এলাকাবাসীর কাছ থেকে জেনেছি ওরা প্রতিরাতেই মদ ও রেক্টিফাইড স্পিরিট সেবন করে বাসায় ফিরতেন”।
নিহতের স্বজনের বরাত দিয়ে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান,“ নিহতরা প্রতিদিন মদ ও রেক্টিফাইড স্পিরিট সেবন করতেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এখন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয়”।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়ে বলে জানান আজিজুল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে রংপুর নগরীর তাজহাট বিহারীপাড়ায় মদ বিক্রেতা আব্দুর রহিম ছইয়ার বাড়িতে মদপানের পর বিষক্রিয়ায় ট্রাকচালক, হেলপার, কসাই ও রংমিস্ত্রিসহ বিভিন্ন পেশার ১৪ জন মারা যান।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ