চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ভবনে কর্ণফুলী ঘাটের ইজারা নেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচজন আহত হয় বলে জানা যায়। বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। বড় ধরনের সংঘাত ঠেকাতে নগর ভবনের ভেতরে ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ছাত্রলীগ নেতা আবু মুহাম্মদ মহিউদ্দিন গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এই উত্তেজনা-সংঘাত চলে বলে জানা যায়। অভিযোগ আছে, মহিউদ্দিন গ্রুপের একজন দরপত্রের ফরম কিনতে গেলে আবদুল্লাহ আল মামুন তাকে বাধা দেয়। এ থেকে সংঘাতের সূত্রপাত হয়।
চসিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার ছিল কর্ণফুলী নদীর ১১ নং পারাপার ঘাট, ১৪ নং পারাপার ঘাট, ১৫ নং পারাপার ঘাট, মাতবর ঘাট, ৮ নং বিওসি ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, তিন টেঙ্গে ঘাট, চাক্তাই ঘাট, লবণ ঘাট, গাইজ্জ্যের ঘাটসহ মোট ১২টি ঘাটের ইজারার ফরম বিক্রির শেষ দিন। তাই এদিন সকাল থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে চলছিল উত্তেজনা। বিকাল ৩টায় দুই পক্ষের মধ্যে এক দফা হাতাহাতি হয়। এ সময় নগর ভবনের ভেতরে ভাঙচুরেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর এক ঘণ্টা পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও বিকালে নগর ভবনের ভেতরে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ও হয়। এ সময় মূল ফটক আটকে দেওয়া হয়।
ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছির আরাফাত বলেন, মেয়র পরিশ্রম করে নগর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু ছাত্রলীগ নামধারী একটি পক্ষ তার অর্জনগুলোকে ম্লান করে দিচ্ছে। বিষয়টি ছাত্রলীগের সেই সব নেতাদের ভাবা উচিত।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকালে শান্তিপূর্ণভাবে টেন্ডার জমা হয়েছে। তবে দুপুরের দিকে কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এগুলো টেন্ডারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ