আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার রোহিঙ্গাদের জন্য নূন্যতম দরদ নাই। তাদের প্রতি দরদ থাকলে বিনা কারণে ৩ মাস বিদেশ থাকতেন না। মানবিক কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের কাছে যাচ্ছেন। ত্রাণ বিতরণের জন্য নয়, নেতাকর্মীদের গাড়ি নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কাজের প্রতিবদ্ধকতা তৈরি করতেই সেখানে যাচ্ছেন। এর আগে বিএনপি নেতারা গিয়ে ফটোসেশন করেছে এসেছেন, আর তাদের দলের নেত্রী রাজনীতি করতে যাচ্ছেন। আজ দুপুরে ধানমন্ডিতে শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল। তারা মানবিক কারণে কখনো মানুষের পাশে দাড়ায় না। সুবিধার জন্য কাজ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নিপীড়িত মানুষের পাশে সব সময় থাকে। ২৫ আগষ্ট মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা শুরু করে রোহিঙ্গারা। তার কয়েকদিন পরই দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা সেখানে ছুটে যাই। সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, বাসস্থান, খাওয়ার ব্যবস্থার উদ্যোগ নেই। নিরাপত্তা ঝুকি থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ সেপ্টেম্বর সেখানে গিয়েছেন। পরম মমতায় অসহায় সর্বহারা রোহিঙ্গাদের বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। অসহায় মানুষের পাশে থাকবো আমরা। আর বিএনপি নেত্রী অসুখের দোহাই দিয়ে তিন মাস লন্ডনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। এরপর দেশে ফিরে তার মনে হয়েছে, রোহিঙ্গাদের কাছে যেতে হবে। আসলে মানবিক কারণে নয়, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তিনি কক্সবাজার গেছেন। গাড়ির বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছেন। ঢাকা থেকে বিএনপির বিশাল গাড়ী বহরের কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গার মহাসড়কে যানজট সৃষ্টির কারণে সরকারি ত্রাণ বাহী গাড়ি রোহিঙ্গা শিবিরে যেতে বাধাগ্রস্ত হবে। মানুষেরও দুভোর্গ পোহাতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক প্রায় টানা এক মাস, আমি নিজেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ একটানা দেড় মাসের বেশি সেখানে থেকে রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়া, স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার করেছি। কেন্দ্রীয়, জেলা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সংবাদ মাধ্যমই পাশে দাড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের। সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রী সেখানে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করেছেন। আর দু-একদিন বিএনপি নেতারা গিয়ে সেখানে ত্রাণ বিতরণের নামে ফটোসেশন করেছেন। সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রসাশন, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ তাদের পাশে দাড়িয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, হাবিবুর রহমান সিকদা, আবুল হাসেম দেওয়ান, কাওসার আহমেদ ত্বকী, খালেক খালাসী, সাইফুদ্দিন নাসির, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ, রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বাকী বিল্লাহ প্রমুখ।
উলেখ্য, বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/২৮ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল