বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানিতে জ্যোৎস্না বিলাস করেছে প্রকৃতিপ্রেমীরা। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কীর্তনখোলা নদীর বুকে গানে, কবিতায় আর সুরের মূর্ছনায় উপভোগ করেন দুই শতাধিক প্রকৃতিপ্রেমী। পূর্ণিমার জ্যোৎস্না রাতে ঋতু ভিত্তিক ব্যতিক্রমী আয়োজন করে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বরিশাল পাঠচক্র শাখা।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বড় একটি ট্রলারে কীর্তনখোলা নদীতে ভাসেন তারা। হেমন্তের নীল আকাশে পূর্ণ চাঁদের জ্যোৎস্না বিলাস প্রাণবন্ত করে তোলে ‘আজ মিলন তিথির পূর্ণিমা চাঁদ মোছায় অন্ধকার’ ‘জ্যোৎস্না ভেজা রাতে আমরা মিলেছি এক সাথে’ প্রভৃতি গানে গানে। প্রবীণ সংস্কৃতিজন মুকুল দাসের আলোচনায় রাস পূর্ণিমা, কোজাগরি পূর্ণিমা, দোল পূর্ণিমা, রাখী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা, বুদ্ধ পূর্ণিমা, গরু পূর্ণিমা, জৈষ্ঠী পূর্ণিমা, ঝুলন পূর্ণিমা, ভাদ্রী পূর্ণিমা, কৌমুদী পূর্ণিমা ও আঁততায়ী জ্যোৎস্নার বিশ্লেষণ আয়োজনকে করে তোলে শিক্ষণীয়। ফাঁকে ফাঁকে কবি হেনরী স্বপন, সাংবাদিক স্বপন খন্দকার, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বরিশালের সমন্বয়কারী বাহাউদ্দিন গোলাপ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বিকাশ চক্রবর্তী, শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল উদ্দিনের শুভেচ্ছা বক্তব্য জ্ঞাপনে করতালিতে মুখরিত হয় অনুষ্ঠান। এর পর্যায়ে ঋতুভিত্তিক ভাজ পত্রিকা ‘বাতায়নের’ মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শিল্পী অদিতি, সুপন, নিপা, পান্থ, সঞ্জয়, পূর্বা, ছোটন, পিযুষ, আসিফ, তানজিলের গাওয়া রবীন্দ্র গীতি, লালন, ভাটিয়ালী, লোকগীতি, দেহতাত্ত্বিক, আধুনিক গান ও বাঁশির সুর মূর্ছনা প্রকৃতি ও পরিবেশের সমন্বয় ঘটায়। কবিতা আবৃত্তি বিনোদনে আরেকটি মাত্রা যোগ করে।
তানজিলের বাঁশি আর নিক্কণের বাজনা প্রাণবন্ত করে জ্যোৎস্না বিলাস। অনুষ্ঠানে চিড়া ভাঁজা, খুড়মা, ভাঁপা পিঠা আর খিচুরি আপ্যায়ন করা হয়। মধ্য রাতে পোর্টরোড সাততালা ঘাটে শেষ হয় জ্যোৎস্না বিলাস।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব