কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর খুনীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তার মা জাহেদা আমিন চৌধুরী। তিনি এখন মুমুর্ষ অবস্থায় নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সার্জিস্কোপে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত শনিবার দিয়াজের মাকে দেখতে যান চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। সাক্ষাতকালে তিনি খুনীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। পরে তাকে পানি পান করা। কিন্তু পুলিশ সুপারের আশ্বাসের পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
দিয়াজের বড় বোন জোবায়দা সওয়ার চৌধুরী নিপা বলেন, ‘দিয়াজের খুনীর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছেন মা। তাই তিনি অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। খুনীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সুপার আশ্বাস দিলেও তারা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন। তিনি কোন খাবার গ্রহণ করছেন না। তাকে রাইলস টিউব দিয়ে জোর করে তরল খাবার দেয়া হচ্ছে।’
দিয়াজ হত্যা মামলার আসামিরা ক্ষমতার দাপটে পার পেয়ে যেতে পারেন এমন অভিযোগ শুরু থেকেই করে আসছেন তার মা। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে খোলা চিঠিও দিয়েছেন গত এক বছর ধরে। কিন্তু আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারে অনশন শুরু করেন দিয়াজের মা। অনশনের চার দিনের মাথায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সার্জিস্কোপে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ। এ ঘটনায় দিয়াজের মা বাদী হয়ে গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতে হত্যা মামলা করেন। ওই হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সেসময়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, সেসময়ের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা আবুল মনসুর জামশেদ, রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হলেও আদালতের নির্দেশে হওয়া দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দিয়াজকে ‘হত্যা’ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন