ডিএনডি’র সিদ্ধিরগঞ্জের মুজিববাগ এলাকায় ইরিগেশন খালের উপর নির্মিত কাঠের সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল শিক্ষার্থী, আদমজী ইপিজেডের শ্রমিকসহ শত শত নারী পুরুষ পারাপার হচ্ছে। এ সময় অনেকই পা ফসকে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা উক্ত স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
তবে নাসিক কাউন্সিলর হাজী ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ডিএনডি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর ইরিগেশন খালের উপর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য জাইকার অর্থয়ানে ৩টি সেতুসহ মোট ১৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন।
এলাকাবাসী জানায়, নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পাগলাবাড়ি, মুজিববাগ এলাকাসহ আশপাশের এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ডিএনডি প্রজেক্টর ইরিগেশন খালের উপর ৮/১০ বছর আগে ৩টি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেন বিলুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার তৎকালিন প্রশাসক আব্দুল মতিন প্রধান। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভাকে সরকার সিটি করপোরেশন করার পর ৩টি সেতু থেকে মাত্র একটি আদমজী ইপিজেড এলাকার কাঠের সেতু সংস্কার করে নাসিক কর্তৃপক্ষ।
মুজিববাগ এলাকার সেতুটি এখন মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে সেতুর বিভিন্ন অংশের কাঠ পঁচে গেছে। কোন কোন স্থানে কাঠ ভেঙ্গে গেছে। সেতুতে ব্যবহারকৃত কাঠগুলো অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ প্রতিদিন এ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটি দিয়ে শত শত স্কুল শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য নারী পুরুষ পারাপার হয়। মাঝে মধ্যে সেতুটি এলাকাবাসী নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সংস্কার করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে কেউ আর সংস্কার করছে না বিধায় সেতুটি এখন এলাকাবাসীর মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকাবাসী উক্ত স্থানে জরুরি ভিত্তিতে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করার জোর দাবি জানান।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি সিআইখেলা এলাকার যুবলীগ নেতা মোঃ আমির ফয়সাল জানান, প্রায় ১ মাস পূর্বে সিআইখোলা এলাকার অপর একটি কাঠের সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। পরে এ নিয়ে আমরা সমাজ সেবক আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার ইসলামের সাথে আলোচনা করলে তিনি নিজ খরচে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটি মেরামত করে দেন।
এ ব্যাপারে নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ওমর ফারুক জানান, ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ডিএনডি প্রজেক্টর কাজ শুরু হয়েছে। এ উন্নয়ন কাজ শেষ হলে ডিএনডি ইরিগেশন খালের উপর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ১৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৩টি সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে নাসিক কর্তৃপক্ষ। এ লেকটিকে একটি বিনোদন ষ্পট হিসেবে গড়ে তোলা হবে হবে বলে তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন