প্রফেসর ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ তামাক সেবন করে। এখানে সিগারেটের মূল্য কম। বিড়ি আরো সস্তা। সিগারেট ক্রয়ে ব্যয় হয় জিডিপির এক শতাংশ। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যক্ষতির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু তামাক ব্যবহারে কারণে প্রতিবছর মারা যায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। পঙ্গু হয় ৩ লক্ষ ৮২ হাজার। এই অবস্থা থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে সবোর্চ ৭০ শতাংশ ট্যাক্স বৃদ্ধি করে বিড়ি-সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি। কারণ তামাকের মূল্য ১০ শতাংশ বাড়লে নাকি ব্যবহার ৫ শতাংশ কমে বলে দেখেছেন গবেষকেরা।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৮ উপলক্ষে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা -মানস এর আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. অরূপ রতন জানান, গত বছর তামাকজাত পণ্য থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে এনবিআর। বিড়-সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়িয়ে আরো রাজস্ব আয় করতে পারে সরকার। এ জন্য তিনি নিম্নস্তরে এক প্যাকেট সিগারেটের দাম বর্তমানে ২৩ টাকার স্থলে ৪০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। এছাড়া দশ শলাকার সিগারেট প্যাকেটে নিম্নস্তরে ২৫.৯৫টাকা, উচ্চস্তরে ৪৯.৬০টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ৮২ টাকা করারোপের প্রস্তাব করেন। এতে ৫ হাজার ২শ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব পাবে সরকার। একইভাবে বিড়িতে রাজস্ব বৃদ্ধি করা হলে রাজস্ব বাড়বে আরো ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা।
অরূপরতন চৌধুরী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এদেশে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ (৪৩%) প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এবং সাত শতাংশ শিশু-কিশোর সিগারেট, বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মানসের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ হোসনে আরা রীনা এবং ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিষ্ট সাদিয়া শারমিন উর্মি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন