স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ) ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা সবাই একমত মাদক প্রতিরোধ করতে হবে। তাই মাদকের ভয়াবহতা এখন আলোচনার বিষয় নয়, মাদক নির্মূলের সময় চলে এসেছে। আমাদের দেশে মাদকের যে সরবরাহ সেটা মূলত মিয়ানমার থেকে আসে। মাদক নির্মূলে আমরা মিয়ানমার থেকে কোনও সহযোগিতা পাচ্ছি না। ১৯৯৪ সালে প্রথম মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর দ্বি-পক্ষীয় মিটিং হবে। মিটিং অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু প্রথমত তারা মিটি করতে চায় না, মিটিং করতে চাইলে মিটিংয়ের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করতে চায় না। স্বাক্ষর করতে চাইলে তা বাস্তবায়ন করতে চায় না। এটা দুঃখজনক। এসময় তিনি আমাদের দেশে মাদকের সরবরাহে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'মাদক বিরোধী অভিযান ও বাস্তবতা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব নাসির উদ্দিন আহমদ, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্য ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মোহিত কামাল, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সুপ্রিম কোর্টের জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.), নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মো. আব্দুর রশীদ (অব.), জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.ফারজানা, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার শেখ আসলাম, অভিনেতা পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান