চাঁদাবাজি করার সময় অস্ত্রসহ গ্রেফতাকৃত পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হাসান মিরনকে বহিষ্কার করে চাঁদাবাজির মামলায় জামিনে থাকা আরেকজনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের গণতন্ত্র অনুসারে সভাপতি অবর্তমানে প্রথম সহ-সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু দ্বিতীয়জনের বিরুদ্ধেও একই ধরনের মামলা থাকায় তাকে দায়িত্ব নিয়েনেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি পুরানা পল্টনের আজাদ প্রডাক্ট ভবনে চাঁদাবাজি করার সময় অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হাসান মিরনসহ সঙ্গীরা। পরে গত ২৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো মিরনকে বহিষ্কার করে সহ-সভাপতি রনি হাসানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রনির আসল নাম জহিরুল ইসলাম রনি। তার বিরুদ্ধে গত ৯/৮/১৬ সালে পল্টন থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলায় তিনি গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে কোর্টের জামিন নিয়ে বের হন। এ প্রসঙ্গে রনি হাসান বলেন, মামলাটি সর্ম্পকে আমি কিছুই জানতাম না। দীর্ঘদিন পরে জেনে কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছি। আসলে মামলাটি ভুয়া। তার আসল নাম জহিরুল ইসলাম রনি বলে স্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রনি হাসানকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ ব্যপারে ছাত্রলীগের সভাপতি শোভনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোাগাযোগ করা হলে ফোন রিভিস করেনি। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব