আশুলিয়ায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক পোশক শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাতে আশুলিয়া থানাধনি গোয়াইলবাড়ীর মেশিনপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত ওই পোশক শ্রমিকের অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ বখাটেকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন, মো. জাফর কাজী, মো. নাজমুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, রহম আলী ও আমির হোসেন। তবে আটককৃতদের নাম জানালেও বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
জানা যায়, আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোয়াইলবাড়ীর মেশিনপাড় এলাকার এক গৃহবধূকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বখাটে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষিতা বাংলাদেশ প্রতিনিকে জানান, ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাতে কারখানা থেকে ডেকে নিয়ে ৭ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন তাকে মারপিট করে অস্ত্রের মুখে জাফর আলী তার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে ইন্টারনেটে ভিডিও ফুটেজ ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়।
তিনি আরো জানান, তার বোন গত চার মাস আগ হেমায়েতপুরের নতুনপাড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় হেলপার পদে চাকরি নেয়। এ সময় ওই পোশাক কারখানার রাকিব নামের এক অপারেটররের সাথে তার পরিচয় হয়। তাকে ওই গার্মেন্টসের পাশে একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নেন শহিদুল। এ সময় ওই পোশাক শ্রমিককে তার ৭ বন্ধু মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে বললে ওই যুবকরা তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন। পরে গতকাল রাতে ওই পোশাক শ্রমিক আশুলিয়ার থানায় উপস্থিত হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গণধর্ষণের শিকার নারী পোশাক শ্রমিককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে ৫ জনকে আটক করেছে। বাকি দুই জনকেও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গণধর্ষণের শিকার পোশাক শ্রমিককে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে সাভারে গার্মেন্টস থেকে ডেকে নিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে (১৭) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন সাভার মডেল থানায়। ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক শ্রমিক সাভারের গেন্ডা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার ইয়ারপুর থানার রবিন্দনগর গ্রামে। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাতে কারখানা থেকে ডেকে নিয়ে ৮ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন তাকে মারপিট করে অস্ত্রের মুখে এক লাখ দশ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়া হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এই ঘটনার এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চালানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল