বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের টুমচর গ্রামে এক যুবককে পিঠমোড়া দিয়ে হাত বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে জোড়পূর্বক ময়লা পানি খাওয়ানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার নির্যাতিতের বাবা মহিউদ্দিন ব্যাপারীর দায়ের করা ওই মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ আজ বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
গত সোমবার রাতে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, একজন যুবকের হাত পিঠমোড়া দিয়ে বাঁধা অবস্থায় কয়েকজন ব্যক্তি তার উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এর এক পর্যায়ে ওই যুবকের বুকে এক ব্যক্তি পা দিয়ে চেপে ধরে বদনায় থাকা (শৌচ কাজে ব্যবহৃত) ময়লা তরল পদার্থ খাওয়াচ্ছে তারা। এ সময় ওই যুবক নিজেকে রক্ষার জন্য ধস্তাধস্তি করলেও হাত বাঁধা থাকায় শেষ রক্ষা হয়নি তার।
নির্যাতিত যুবক আজম ব্যাপারী হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মহিউদ্দিন ব্যাপারী ছেলে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংঘটিত এই ঘটনার ওই ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। এ ঘটনার ৮দিন পর নির্যাতিতের বাবা মহিউদ্দিন ব্যাপারী বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ১০জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩জনকে আসামী করে হিজলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজমকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন, নির্যাতন, চাঁদা দাবি এবং মানহানীর অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ ওইদিনই অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত টুমচর গ্রামের মাহবুব সিকদার এবং তার দুই সহযোগী আব্দুর রশিদ মাতুব্বর ও কবির হোসেন সরদারকে গ্রেফতার করে। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম