শিরোনাম
- গোপালগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- ক্যানবেরায় কুয়েট প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত পুনর্মিলনী
- সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঢাবি সাদা দলের
- হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক
- ভারতে বহুতল ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭
- যুক্তরাজ্যে অষ্টমবারের মতো জামিন খারিজ ভারতের নিরব মোদির
- ঢাকায় ফিনিক্স কনভেনশন সেন্টারের যাত্রা শুরু
- হায়দ্রাবাদে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৭
- এবার প্রশাসনিক কাজেও বিরত থাকার ঘোষণা কুয়েট শিক্ষক সমিতির
- ‘দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন, না হয় আন্দোলনে নামবো’
- পাকিস্তানকে সমর্থন: তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করলো আইআইটি বোম্বে
- মুন্সিগঞ্জ আদালতের মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র সংস্কার কাজের উদ্বোধন
- ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নিতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার খবর সত্য নয় : মার্কিন দূতাবাস
- ‘বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সব অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি’
- এফএ কাপ: ফাইনাল হেরে যা বললেন ম্যানসিটি কোচ
- শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন, অর্থদণ্ড আদায়ে সম্পদ বিক্রির নির্দেশ
- ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তির পুনর্জাগরণ
- ২০ কোটি রুপির পারিশ্রমিক হাঁকিয়ে ফিরছেন দীপিকা
- উখিয়া সীমান্তে সার পাচারকালে আটক দুই নারী
- বিদায়ী ম্যাচে মুলারকে দুর্দান্ত জয় উপহার দিল বায়ার্ন
সাপের কামড়ে দম্পতির মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

সাপে কাটা এক দম্পতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তারা মারা যান।
নিহতরা হলেন- নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রামচরণপুর গ্রামের নূর ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী মৌসুমী খাতুন (২৬)। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তাদের সাপে কাটে। ২৯ দিন আগে নূর ইসলামের বাবা সিরাজুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে সাপে কেটে।
রামেক হাসপাতালে নূর ও মৌসুমীকে আনার পাশাপাশি তাদের বিছানা থেকে একটি সাপও ধরে আনেন স্বজনরা। রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বেলাল হোসেন দেখে জানান, সাপটির নাম ‘কমন ক্র্যাট’। এই সাপ ফনা তোলে না। কিন্তু গোখরার চেয়ে চারগুণ বেশি বিষধর। বালতিতে করে জালে জড়িয়ে আনা সাপটি দেখার পর তিনি এটিকে মেরে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন।
নূরের চাচা আবদুর রহিম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে নূর ও মৌসুমী ঘরে খাটের ওপর ঘুমিয়ে ছিলেন। মশারির ভিতরে ঢুকে সাপটি তাদের দুজনকেই কামড় দেয়। এরপর তাদের ঘুম ভেঙে গেলে তারা দেখেন, বিছানার ওপর একটি সাপ। পরে মাছ ধরা জাল দিয়ে সাপটিকে ধরা হয়। এরপর তাদের দুজনকেই মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সাপে কাটার কোনো ওষুধ না থাকার কারণে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। শুক্রবার ভোর ৬টায় তাদের এখানে ভর্তি করা হয়। নূর হাসপাতালের ৪২ ও মৌসুমিকে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেখে এন্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে একে একে দুজনই মারা যান।
আবদুর রহিম আরও জানান, ২৯ দিন আগে নূরের বাবা সিরাজুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে সাপে কেটে। বাড়িতে সাপে কাটার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়ারও সময় পাওয়া যায়নি। নূর ও মৌসুমীকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো গেল না।
রহিম বলেন, মহাদেবপুরের হাসপাতালে সাপে কাটার ওষুধ নেই। সেখানে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিলে হয়তো নূর ও মৌসুমীকে বাঁচানো যেত।
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক বেলাল হোসেনও একই কথা বলছেন। তিনি বলেন, মহাদেবপুর থেকে রামেক হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। কমপক্ষে দুই ঘণ্টার পথ। এই দুই ঘণ্টা আগে যদি নূর ও মৌসুমীকে এন্টিভেনম প্রয়োগ করা যেত তাহলে তাদের প্রাণরক্ষার সম্ভাবনা ছিল।
মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সাপে কাটা রোগীদের জন্য এন্টিভেনমের সরবরাহ নেই। আর এন্টিভেনম ছাড়া সাপে কাটা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসাও হয় না। তাই তাদের এখানে সাপে কাটা রোগী গেলে নওগাঁ অথবা রাজশাহী পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে অনেকেরই জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর