১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:২২

রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা, আটক ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা, আটক ৭

নিহত যুবলীগ কর্মী সানোয়ার হোসেন রাসেল (ফাইল ছবি)

রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মী সানোয়ার হোসেন রাসেল (৩০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তাদেরকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানাবে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস মামলার তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিহতের বড় ভাই মনোয়ার হোসেন রনি বাদী হয়ে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য চন্দ্রিমা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনার পর বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া এই ঘটনার মূল আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান মহানগর পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এদিকে, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, রাতে আটকের পর সাতজনকে বর্তমানে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে দুপুরের মধ্যেই আদালতে পাঠানো হবে। 

এর আগে, বুধবার দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের পাশে মহানগরীর শিরোইল কলোনি এলাকায় বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের (পূর্ব) সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজা ও মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন। এর মধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত রাজা, রাসেল ও শিরোইল এলাকার রবিউলের ছেলে সোনাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

রেলভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্রে বুধবার আওয়ামী লীগের রাজা ও মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ।

পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম সংলগ্ন ভাংড়ির দোকানের সামনে থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করে। 

অন্যদিকে, পুলিশ যাওয়ার আগেই ছুরিকাঘাতে আহত রাজা, রাসেল ও সোনাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। সেখানেই সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবলীগ কর্মী রাসেলের মৃত্যু হয়।

নিহত সানোয়ার হোসেন রাসেল বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের (পূর্ব) সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজার ভাই। রাসেল মহানগরীর শিরোইল বাস্তুহারা পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এছাড়া তিনি মহানগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর