ওরা অনেকেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। কেউ আছেন ব্যবসা করেন। আবার কয়েকজন রয়েছেন চাকরিজীবি। রয়েছেন সাংবাদিকও। সকলে মিলে তারা সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় গড়ে তুলেছেন হিরাঝিল একতা সংঘ। নিজেদের লেখা-পড়া, ব্যবসা ও চাকরির পাশাপাশি তারা এগিয়ে আসে সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে। সবই করেন নিজের টাকা খরচ করে। কারো কাছ থেকে কোন প্রকার চাঁদা আদায় বা অনুদান নেয়া ছাড়াই তারা চালিয়ে আসছে পরোপকারে তাদের এ সকল কার্য্যক্রম। অনেকটা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত। রক্তদান কর্মসূচি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ, শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তারা এবার হাতে নিয়েছেন মানবতার দেয়ালের কর্মসূচি।
২০১৮ সালের ১৩ জুনে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি বুধবার থেকে তাদের এ নতুন কার্যক্রমে হাতে নেয়। যা ইতিপূর্বে দেশের কয়েকটি জায়গায় এ কর্মসূচী হাতে নিয়েছিল।
'আপনার অব্যবহৃত একটি বস্ত্র, হতে পারে কারো লজ্জা বা শীত নিবারনের অস্ত্র, 'দিয়ে গর্ববোধ করেবন না, নিতে লজ্জাবোধ করবেন না' এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটি সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডের প্রবেশমুখে মানবতার দেয়াল' -এর কার্য্যক্রম শুরু করে। মানবতার দেয়ালে বিত্তবানরা তাঁদের অপ্রয়োজনীয় জিনিস রেখে যেতে পারবেন এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেতে পারবেন অসহায় সুবিধাবঞ্চিতরা।
সংগঠনটির কোন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা কোন পদে কোন কর্মকর্তা নেই। সংগঠনের সকলেই নেতা আবার সকলেই কর্মী। মানবতার দেয়াল প্রসঙ্গে সংগঠনটির একাধিক সদস্য বলেন, আমাদের সবারই উচিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের সমাজে অনেক দুস্থ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষ আছে যারা কষ্ট করে কিন্তু কারো কাছে কিছু চাইতে লজ্জাবোধ করে। সুবিধাবঞ্চিত সেই সকল মানুষদের মুখে হাঁসি ফুটানোই এই দেয়ালের উদ্দেশ্য। মানবতার দেয়াল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যদি একজন মানুষও উপকৃত হয় তাহলেই আমরা সার্থক বলে মনে করেন সংগঠনটির সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল