বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন জগদ্দল পাথরের মতো দেশবাসীর ওপর চেপে বসেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা হচ্ছে। লুটপাট, বিদেশে টাকা পাচার বেড়েই চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছেই। বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। গণবিরোধী এই সরকারের হটাতেই হবে। গণ-আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তার জন্য বামপন্থী শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে।
শুক্রবার পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) নেতা কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ মার্কসবাদী নেতা মানস নন্দী, সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, সিপিবি’র অন্যতম সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি ঢাকা কমিটির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন।
আলোচনাসভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দুঃশাসন হটিয়ে যদি বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তিকে ক্ষমতায় আনা না যায়, তাহলে দুঃশাসন পর্যায়ক্রমিকভাবে চলতেই থাকবে, এক দুঃশাসনের জায়গায় আরেক দুঃশাসন আসবে। তাই বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটাতেই হবে। বাম-গণতান্ত্রিক দল, শক্তি ও ব্যক্তিকে এখন এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। জনগণের ঐক্যকে জোরদার করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন