রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালানোর পর এবার তা সিলগালা করে দিয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার বিন কাশেমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালটি সিলগাল করে দেয়। অন্যদিকে, রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের পর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. মোহাম্মদ শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছে র্যাব।
করোনা টেস্ট না করে সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছ র্যাব। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার।
তিনি জানান, মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নং -৫। এতে সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক ৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আর রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসাবে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এর আগে টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে সিলগালা করে দেয়া হয় ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে র্যাবের টিম সেখানেও অনুমোদনহীন টেস্ট কিট ও বেশ কিছু ভুয়া রিপোর্ট পেয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
অভিযান শেষে সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল ও প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দিয়েছি। হেড অফিসে বসেই মিথ্যা রিপোর্ট তারা তৈরি করতো। হেড অফিসে ৫/৭ দিনের স্যাম্পল এক সাথে করে ফেলে দিতো। ভুয়া রিপোর্টও পেয়েছি। অনুমোদনহীন র্যাপিড কিট আমরা পেয়েছি।
অভিযান শুরুর আগেই তিনি গণমাধ্যমকে জানান, রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সেসময় তিনি আরও জানান, রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং এর মধ্যে আট জনকে আটক করা হয়েছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর অনুমোদন দিয়েছিলো ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। পরে ২০১৭ সালে মিরপুরেও হাসপাতালটির আরেকটি শাখা খুলে তার অনুমোদন নেয়া হয়। যদিও এসব হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ একবার উত্তীর্ণ হওয়ার পর আর নবায়ন করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর