১৩ জুলাই, ২০২০ ১৮:০৭

এক মিনিটও দুর্নীতির সাথে থাকতে চাই না : স্বাস্থ্য সচিব

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

এক মিনিটও দুর্নীতির সাথে থাকতে চাই না : স্বাস্থ্য সচিব

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিদিন আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করছি। ডিজির কাছে ব্যাখা চাওয়া, গতকালও (রবিবার) একজন প্রফেসরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, নারায়ণগঞ্জেও যদি এমন কিছু তথ্য থাকে আমাদের জানান। মিডিয়াই আমাদের ভরসা। আমরা দুর্নীতির কোনো জায়গাই ছাড়তে চাচ্ছি না। আমি একদিন, এক ঘণ্টা, এমনকি এক মিনিটও দুর্নীতির সাথে থাকতে চাই না। 

আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পূর্বে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ আসার সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আমরা বসে থাকবো না। সবচেয়ে বড় কথা সত্য যেন বের হয়ে আসে। আমরা সত্যের সাথে থাকতে চাই। যারা অপরাধ করবে তারা সকলেই আইনের আওতায় আসবে, আসা উচিত। আমাদের অনেক সময় তথ্য উপাত্ত পেতে অনেক দেরি হয়, সেটি আপনাদের কাছে থাকলে আমাদের জানাবেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেছেন 'এদেশে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনও এ নিয়ে কাজ করছে। আমি নির্ভয়ে বলতে চাই যারাই অপরাধ করবে তারা যে প্রতিষ্ঠানেরই হোক না কেন বা যে ব্যক্তিই হোক না কেন দেখার বিষয় না, আমরা অপরাধ দেখে প্রতিষ্ঠান একেবারে সিলগালা করে দেবো।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ করোনার শুরু থেকে হটস্পটে পরিণত হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ এখন একটা পর্যায়ে এসেছে। এখানে যারা স্বাস্থ্যসেবা ও করোনা নিয়ে কাজ করছে তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে আজ এখানে এসেছি। ডাক্তাররা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা তাই তাদের কাছে এসেছি তাদের কথা শুনতে। এতে তাদের মনোবল ফিরে আসবে। তাদের ডেকে ঢাকায় নিয়ে কথা বলার চাইতে তাদের কাছে এসে আমি কথা শুনবো বলেই এখানে আসা। তাদের কাছ থেকেই আমি জানবো সমস্যাগুলো কোথায়, যাতে মানুষ সেবা পায় এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা যায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, রোগী কেন দিন দিন কমে যাচ্ছে সেটি দেখবো আমরা। যদি খানপুরে করোনা হাসপাতালে ৮০ জন ডাক্তার ও ২৬ জন রোগী থাকে তাহলে সেটি কেন দেখতে হবে। ভেতরে আরও সমস্যা আছে কিনা আমরা দেখবো। আর কয়েকদিন দেখার পর এ হাসপাতালে দুটি পথ করে একটি কোভিড ও অন্যটি সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও জানান, কোনো হাসপাতাল যদি নিয়মের বাইরে গিয়ে টেস্ট করায় কিংবা বেশি টাকা আদায় করে সেটি স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নেব। অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি কোভিড হাসপাতালের বাইরে দিয়েও যায় না অথচ আমাদের ডাক্তাররা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করছে তাই তাদের প্রণোদনার ব্যাপারটি দেখা হচ্ছে।  

এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, খানপুর করোনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর