আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় সভা করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। রবিবার সকাল ১১টায় বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনের ড্রিল সেডে মেট্রোপলিটন পুলিশ এই সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ কমিশনার।
বিএমপি’র উপ-কমিশনার (সদর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্’র সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমিশনার মো. মাসুদ রানার সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি পুলিশ কমিশনার ছাড়াও অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-কমিশনার (দক্ষিন) মো. মোকতার হোসেন, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, উপ-কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) মোঃ মনজুর রহমান, উপ-কমিশনার সাপ্লাই এন্ড লজিস্টিকস খান মুহাম্মদ আবু নাসের, জেলা পূঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র দে ও সাধারন সম্পাদক মানিক মুখার্জী, মহানগর পূঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দে নারু ও সাধারন সস্পাদক সুরজিত দত্ত সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, এবার বরিশাল জেলা ও মহানগরে ৬১৭টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মহানগরে ৪২টি এবং জেলার ১০ উপজেলার ৫৭৫টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।
সভায় বলা হয়, এবার পূজা মন্ডপগুলোতে স্থায়ীভাবে পুলিশ মোতায়েন থাকবে না। পোষাকধারী পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা মন্ডপগুলোতে টহল দেবে। গোয়েন্দা পুলিশ প্রতিটি মন্ডপ নজরদারী করবে। স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে প্রতিটি মন্ডপে শান্তি শৃঙ্খলা ও শারীরিক দূরত্ব রক্ষা এবং মন্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ পুলিশ কমিশনারকে জানান, এবার করোনার কারনে কেন্দ্রিয় পূঁজা উদযাপন কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন মন্ডপে তোরন নির্মাণ করা হবে না। এছাড়া আঁতশবাজী, মেলা, আরতী প্রতিযোগীতাও হবে না। আগামী ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মহানগরীর আওতাধীন সব মন্ডপের প্রতীমা বিসর্জন দেয়ার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল