‘ভিসা গাইড সেন্টার’। রাজধানীর মিরপুর শাহআলী মার্কেটে নবম তলায় এর অফিস। এটি শুধু ভিসা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অনুমোদন না নিয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক এমন মানুষকে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করত প্রতিষ্ঠানটি। এরপর জাপান-কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলত। আর এভাবে গত দুই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এই প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির রিক্রুটমেন্ট লাইসেন্স নেই। বিদেশি কোম্পানিতে কাজের জন্য ডিমান্ড লেটারও নেই। বিদেশে লোক পাঠাতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও নেই।
এরপরও চলতি বছরই প্রায় আড়াই হাজার লোকের কাছ থেকে কয়েক ধাপে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তাই নয়, বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল পরীক্ষার নামেও জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে ‘ভিসা গাইড সেন্টার’।
প্রতারণার শিকার হয়ে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে তাদের জীবননাশেরও হুমকি দিত প্রতিষ্ঠানটির লোকজন।
কিন্তু অবশেষে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) ভিসা গাইড সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৩ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান শেষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, এমডি, পরামর্শক, কাউন্সিলর এবং আইটি স্পেশালিস্টকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।
অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি গণমাধ্যমকে প্রতিষ্ঠানটির উল্লিখিত প্রতারণার কথা জানান।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ