শিরোনাম
- জবিতে প্রথমবর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর
- মুন্সীগঞ্জ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইতালি গেল বিড়াল ‘ক্যান্ডি’
- শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিক্ষোভ সমাবেশ
- চীনের ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ পেলেন শাবির অধ্যাপক ইফতেখার
- মাদারীপুরে জাহানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে মিছিল
- ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ
- লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়নে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে আসবে গতি : প্রেস সচিব
- নতুন রূপে ফিরছে ‘প্রিডেটর’, এবার দেখা যাবে বাংলাদেশেও
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪
- গাকৃবিতে ‘গমের ব্লাস্ট রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ কিটের কার্যকারিতা যাচাই’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৯ মামলা
- কিউ-এস র্যাংঙ্কিং: এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিইউবিটি
- এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা
- স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অপসোনিনের ছাঁটাই শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
- মাগুরায় দুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ
- অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা
- বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পুষ্টি ক্যাম্পেইন মেলা’ অনুষ্ঠিত
- জাল নোট প্রতিরোধে বিজিবির নজরদারি জোরদার
- প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ
দুই মেয়েসহ ৫ স্বজনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধ করিম সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
দুই মেয়ে, এক জামাতা আর দুই নাতি-নাতনিকে একসঙ্গে হারালেন রংপুরের পীরগঞ্জের বড়রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল করিম সরকার। প্রায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ করিম সরকার এখন শোকে কাতর।
শুক্রবার রাজশাহীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় যে ১৭ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে করিম সরকারের পরিবারের পাঁচজন আছেন। তারা হলেন, বড় মেয়ে কামরুন্নাহার (৩৭), ছোট মেয়ে শামসুন্নাহার (২৫), তার স্বামী মো. সালাহউদ্দিন (৩৬), তাদের ছেলে সাজিদ (৮) ও মেয়ে সাফা (২)।
নিহত সালাহউদ্দিন পরিবার নিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামে বাস করতেন।
শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীতে এই দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জন নিহত হন। নিহতরা সবাই পীরগঞ্জের বাসিন্দা। একটি মাইক্রোবাসে চালকসহ মোট ১৮ জন রাজশাহীতে পিকনিকে গিয়েছিলেন। রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কাপাশিয়া এলাকায় একটি বেসরকারি পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মাইক্রোবাসটির। এরপর মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে মাইক্রোবাসের আগুন গিয়ে পড়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি লেগুনায়।
দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে সাতজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের মধ্যে ছয়জনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া আরও ১১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকালে রামেক হাসপাতালে নিহতদের মরদেহ নিতে যান স্বজনেরা।
মেয়ে, জামাতা ও নাতি-নাতনিদের মরদেহ নিতে রামেকে যান বৃদ্ধ আবদুল করিম সরকার। শোকে কাতর করিম সরকার হাসপাতালে চুপচাপ বসে আছেন। দুর্ঘটনার পর নিহতদের ছবি তোলা হয়েছে মুঠোফোনে। সেসব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। সেগুলো সংগ্রহ করে রাখছেন স্বজনেরা। করিম সরকার বার বার সেসব ছবি তাকে দেখানোর জন্য বলছেন। ছবি দেখছেন।
করিম সরকার বলেন, এত শোক সইব কী করে! জীবনেও কখনও এত শোক পাইনি। এভাবে কী সবাই একসঙ্গে চলে যায়! আমার আদরের মেয়েরা নাই। আমার নাতি-নাতনিরা নাই। এটা কী হয়!
রাজশাহীর কাটাখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মতিউর রহমান জানান, আগের দিন সবার নাম-ঠিকানা ঠিকমতো পাওয়া যায়নি। স্বজনেরা মরদেহ নিতে আসায় ঠিকঠাক করে নামগুলো লেখা হচ্ছে। মরদেহগুলো এখনও হাসপাতালের মর্গে আছে। সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর