শিরোনাম
- বাড়ল সোনার দাম
- বোতলের আঘাতে প্রাণ গেল ব্রিটিশ তরুণের, জার্মান নাগরিকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
- দিল্লির গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের দাসত্ব মেনে নেওয়া হবে না : মামুনুল হক
- দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রত্যাবর্তন অ্যাঞ্জেলিনা জোলির
- আইফোনে আবারও ব্লক ফোর্টনাইট
- জাতীয় নারী টি-টুয়েন্টি খেলতে খুলনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল
- গণশিক্ষার শিক্ষকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন
- ভারত থেকে পুশইন, পঞ্চগড়ে ১১ জন আটক
- তরুণদের টার্গেট করে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ শুরু
- মাদক ও দুর্নীতি কমানো গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বরিশালের যুবক নিহত
- ‘এই সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা’
- আওয়ামী স্টাইলে কোনো নির্বাচন হবে না: রফিকুল ইসলাম খান
- যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মাস জেল খেটে ফিরেই বিমানবন্দরে আটক যুবলীগ নেতা
- আদালতের লাগাতার রুলিংয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
- অবশেষে জানা গেল ‘ধামাল ৪’ মুক্তির তারিখ
- ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
- শপথ গ্রহণ নিয়ে যা বললেন ইশরাক
- ইউক্রেন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলন যুদ্ধ অবসানে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’: এরদোগান
- বগুড়ায় মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদকারী মা-বাবা নিরাপত্তাহীনতায়
দুই মেয়েসহ ৫ স্বজনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধ করিম সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

দুই মেয়ে, এক জামাতা আর দুই নাতি-নাতনিকে একসঙ্গে হারালেন রংপুরের পীরগঞ্জের বড়রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল করিম সরকার। প্রায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ করিম সরকার এখন শোকে কাতর।
শুক্রবার রাজশাহীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় যে ১৭ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে করিম সরকারের পরিবারের পাঁচজন আছেন। তারা হলেন, বড় মেয়ে কামরুন্নাহার (৩৭), ছোট মেয়ে শামসুন্নাহার (২৫), তার স্বামী মো. সালাহউদ্দিন (৩৬), তাদের ছেলে সাজিদ (৮) ও মেয়ে সাফা (২)।
নিহত সালাহউদ্দিন পরিবার নিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামে বাস করতেন।
শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীতে এই দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জন নিহত হন। নিহতরা সবাই পীরগঞ্জের বাসিন্দা। একটি মাইক্রোবাসে চালকসহ মোট ১৮ জন রাজশাহীতে পিকনিকে গিয়েছিলেন। রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কাপাশিয়া এলাকায় একটি বেসরকারি পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মাইক্রোবাসটির। এরপর মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে মাইক্রোবাসের আগুন গিয়ে পড়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি লেগুনায়।
দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে সাতজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের মধ্যে ছয়জনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া আরও ১১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকালে রামেক হাসপাতালে নিহতদের মরদেহ নিতে যান স্বজনেরা।
মেয়ে, জামাতা ও নাতি-নাতনিদের মরদেহ নিতে রামেকে যান বৃদ্ধ আবদুল করিম সরকার। শোকে কাতর করিম সরকার হাসপাতালে চুপচাপ বসে আছেন। দুর্ঘটনার পর নিহতদের ছবি তোলা হয়েছে মুঠোফোনে। সেসব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। সেগুলো সংগ্রহ করে রাখছেন স্বজনেরা। করিম সরকার বার বার সেসব ছবি তাকে দেখানোর জন্য বলছেন। ছবি দেখছেন।
করিম সরকার বলেন, এত শোক সইব কী করে! জীবনেও কখনও এত শোক পাইনি। এভাবে কী সবাই একসঙ্গে চলে যায়! আমার আদরের মেয়েরা নাই। আমার নাতি-নাতনিরা নাই। এটা কী হয়!
রাজশাহীর কাটাখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মতিউর রহমান জানান, আগের দিন সবার নাম-ঠিকানা ঠিকমতো পাওয়া যায়নি। স্বজনেরা মরদেহ নিতে আসায় ঠিকঠাক করে নামগুলো লেখা হচ্ছে। মরদেহগুলো এখনও হাসপাতালের মর্গে আছে। সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর