লকডাউনে শ্রমিক সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে সাড়ে তিন বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না সাভার উপজেলার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের সুন্ধদী গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। খবর পেয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সেখানে ছুটে যান।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের ২০০ জন নেতাকর্মী নিয়ে সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে থেকে কৃষক নূর মোহাম্মদ সারে তিন বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করে দেন। হঠাৎ রাজপথের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে তাদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতনমহলসহ স্থানীয়রা। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক নূর মোহাম্মদ অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, অন্যের চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছেন। লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা আল নাহিয়ান খান জয় ভাই আরও নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার সাড়ে তিন বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারা এই কর্মসূচি নিয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় জানিয়েছেন। আর সারাদেশের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিতে নিজেরাও ধান কাটায় হাত লাগিয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা দেশে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। করোনাভাইরাস মহামারীকালে কৃষকের জন্য এটা সুখবর। আর দেশব্যাপী সংগঠনের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের আরও উৎসাহ দিতে সরাসরি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও আমি মাঠে নেমে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান সম্রাট, ঢাকা জেলার উত্তরের ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক মনিরুলসহ অনেকে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসির