নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মহল্লার প্রধান সড়কের (পুরান পট্টি নামে পরিচিত) দুই পাশে গেইট দিয়ে জনসাধারণের চলাচলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মক্কীনগর মাদ্রাসা এলাকার জনৈক মনির হোসেন নামে এক প্রভাবশালী মহল্লার প্রধান সড়কের দুই পাশে গেইট নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর মধ্যে এ উত্তেজনা দেখা দেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং বাকবিতণ্ডা হয়।
‘মহল্লার সড়কের মধ্যে কেউ গেইট নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচল বাধা দিতে পারে না’ বলে জানিয়ে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক জানান, এ রাস্তা দিয়ে সিআইখোলা ও মক্কীনগর মাদ্রারাসা এলাকার হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন যাবত চলাচল করে আসছে।
মক্কীনগর মাদ্রাসা এলাকার রবিউল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার সামনের অংশ সরকারি জমি হওয়ায় তারা লীজ নিয়ে দোকান পাট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। ওই জমি মহল্লার মনির হোসেন নামে এক প্রভাবশালীর সাথে আদালতে মামলা চলে আসছে। বর্তমানে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার সুযোগে মহল্লার প্রধান সড়কের দু’পাশে গেইট নির্মাণ করছে মনির হোসেন। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সিআইখোলা ও মক্কীনগর মাদ্রারাসা এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে আসছে। রাস্তার মধ্যে গেইট দেওয়ার ফলে জরুরি রোগীর গাড়িও চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
একই এলাকার বাসিন্দা এডভোকেট মজিবুর রহমান বলেন, এই রাস্তা দিয়েই আমরা দীর্ঘদিন যাবত চলাচল করে আসছি। গেইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে রাতের বেলায় আমাদের চলাচলে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। আমরা চাই রাস্তার মধ্যে গেইট না করে আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করা হউক।
এ বিষয়ে মনির হোসেন দাবি করেন, এটা তার ব্যক্তিগত রাস্তা। তাই সে তার জমির মধ্যে নিরাপত্তার জন্য গেইট নির্মাণ করেছে। তাছাড়া মাদ্রাসা তার জমির উপর নির্মাণ করেছে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা হলে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক জানান, মহল্লার সড়কের মধ্যে কেউ গেইট নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচল বাধা দিতে পারে না। রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করবে এটা তাদের অধিকার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন